• রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজঃ
মনোহরদীর খিদিরপুরে প্রবাসীদের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ। নরসিংদীর বেলাবতে দুটি রিভলবারসহ মা-মেয়ে আটক। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার রাজনীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করেছে:আমিনূল হক। নরসিংদীর রায়পুরায় ইউএনও,এসিল্যান্ড, সাংবাদকর্মীকে গুলি। বছর না ঘুরতেই ভেঙ্গে গেল রাস্তা। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল। শীতের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে খেজুরের রসের। মনোহরদীতে দুইজন হাফেজাকে স্বর্ণপদক প্রদান। প্রতিবন্ধী স্কুলের অর্থলুট করে আয়া’কে নিয়ে পালালেন সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী লীগের সেক্রেটারি। পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তরের অভিযোগ।

কীভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিনবেন: সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫

Reporter Name / ১২ Time View
Update : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
how to buy train tickets online in 2025
how to buy train tickets online in 2025

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে আমরা অনেক কিছু অনলাইনে করতে পারি, এবং এর মধ্যে অন্যতম হল ট্রেনের টিকিট কেনা। বিশেষত বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন অনলাইনে টিকিট বিক্রির সেবা প্রদান করছে, যা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আর এখন স্টেশনে দীর্ঘ সারি বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আপনি ঘরে বসেই আপনার যাত্রার পরিকল্পনা করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কীভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিনবেন, এবং এর জন্য কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

১. প্রথম ধাপ: প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (eticket.railway.gov.bd) এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও, কিছু থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটও রয়েছে যেখানে আপনি ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে রেলওয়ের নিজস্ব সাইট এবং মোবাইল অ্যাপ, কারণ এখানে সব ট্রেনের তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যায়।

২. রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

টিকিট কেনার প্রথম পদক্ষেপ হল আপনার রেজিস্ট্রেশন করা। এটি একটি একবারের প্রক্রিয়া। রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে কিছু প্রাথমিক তথ্য দিতে হবে:

  • নাম: আপনার পুরো নাম
  • ইমেইল আইডি: টিকিট কনফার্মেশন এবং অন্যান্য তথ্য প্রাপ্তির জন্য
  • ফোন নম্বর: জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/বয়স: কিছু ক্ষেত্রে এটি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে

একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, আপনি আপনার একাউন্টে লগ ইন করতে পারবেন এবং ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য প্রস্তুত হবেন।

৩. ট্রেনের সময়সূচী এবং রুট নির্বাচন

টিকিট কেনার জন্য পরবর্তী ধাপ হল যাত্রার সময়সূচী ও রুট নির্বাচন। রেলওয়ের ওয়েবসাইটে বা মোবাইল অ্যাপে আপনি গন্তব্য ও যাত্রার তারিখ নির্বাচন করতে পারবেন। আপনি আপনার যাত্রার সময় এবং শুরু ও গন্তব্য স্টেশন চয়ন করবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চাইলে, প্রথমে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টেশন নির্বাচন করবেন এবং তারপর যাত্রার তারিখ সেট করবেন।

রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একটি সিস্টেম রয়েছে যা আপনাকে ট্রেনের বিভিন্ন রুট, সময়সূচী এবং আসনের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখাবে। আপনি এখান থেকে আপনার সুবিধামত ট্রেন এবং সময় চয়ন করতে পারেন।

৪. আসন নির্বাচন

টিকিট কাটার পর, আসন নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আপনি যে শ্রেণী (class) থেকে যাত্রা করবেন, সেটি আগে থেকে নির্ধারণ করতে হবে। রেলওয়ে বিভিন্ন শ্রেণীতে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে, যেমন:

  • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণী (AC First Class)
  • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতীয় শ্রেণী (AC Second Class)
  • দ্বিতীয় শ্রেণী (Second Class)
  • স্লিপার ক্লাস (Sleeper Class)

টিকিটের মূল্য এই শ্রেণীগুলির উপর নির্ভর করে, এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী আসন নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়া, আপনি আসনের অবস্থানও নির্বাচন করতে পারেন—যেমন উইন্ডো সিট বা করিডোর সিট।

৫. পেমেন্ট অপশন নির্বাচন

একবার আপনি সব কিছু নির্বাচন করে ফেললে, পরবর্তী ধাপ হল পেমেন্ট। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার সময় বেশ কয়েকটি পেমেন্ট অপশন থাকে:

  • ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড: Visa বা MasterCard এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়।
  • নগদ সেবা: যেমন Bkash, Rocket, Upay ইত্যাদি।
  • নেট ব্যাংকিং: DBBL, AB Bank ইত্যাদি ব্যাংক থেকে পেমেন্ট করা যায়।
  • মোবাইল ব্যাংকিং: মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে সহজে টাকা পরিশোধ করা যায়।

পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনাকে একটি কনফার্মেশন পাবেন। এটি ইমেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে। এছাড়া, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনেও পেমেন্ট কনফার্মেশন দেখানো হবে।

৬. টিকিট কনফার্মেশন এবং প্রিন্ট

পেমেন্ট সফল হওয়ার পর, আপনাকে একটি কনফার্মেশন মেসেজ বা ইমেইল পাবেন। এখানে আপনার টিকিটের বিস্তারিত তথ্য থাকবে, যেমন যাত্রার তারিখ, স্টেশন, আসন নম্বর ইত্যাদি। টিকিট কনফার্মেশনের সঙ্গে একটি পিডিএফ কপি যুক্ত থাকে, যা আপনি প্রিন্ট করতে পারেন বা মোবাইল ডিভাইসে সেভ করে রাখতে পারেন। এটি আপনার যাত্রার সময় কাজে আসবে।

৭. ট্রেনের স্টেশন এ পৌঁছানো

যাত্রার দিন, আপনি স্টেশনে পৌঁছে আপনার টিকিট যাচাই করতে পারবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট যাচাইয়ের জন্য কনফার্মেশন ইমেইল বা মোবাইল ফোনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে থাকে। সুতরাং, আপনাকে কেবল আপনার ফোনে কনফার্মেশন মেসেজ বা প্রিন্টেড টিকিট নিয়ে যেতে হবে এবং স্টেশন কর্তৃপক্ষ সেটা যাচাই করে আপনাকে ট্রেনে প্রবেশের অনুমতি দেবে।

৮. টিকিট বাতিল এবং ফেরত নীতি

অনলাইনে টিকিট কাটা সহজ হলেও, কিছু সময় পরিবর্তন বা বাতিলের প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইনে টিকিট বাতিলের নিয়ম রয়েছে। সাধারণত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকিট বাতিল করলে আপনি পুরো টাকা ফেরত পাবেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে বাতিলের ফি কাটা হতে পারে। টিকিট বাতিলের জন্য ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ থেকে সহজেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।

উপসংহার

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনা বর্তমানে অত্যন্ত সহজ এবং সুবিধাজনক। এর মাধ্যমে আপনি কোনো স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে, ঘরে বসেই আপনার যাত্রার প্রস্তুতি নিতে পারেন। রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে। যদি আপনি এখনও অনলাইনে ট্রেনের টিকিট না কিনে থাকেন, তাহলে আজই একবার চেষ্টা করে দেখুন—এটি আপনার যাত্রার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Most Viewed Posts