শেখ মুজিবরের দুঃশাসন লুটপাটে দেশে দুর্ভিক্ষ আসে,সেখান থেকে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন শহীদ জিয়া বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল।
শনিবার(৯ নভেম্বর)মনোহরদীর হাতিরদিয়া বাসস্ট্যান্ডে একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগের আমলে প্রথম ভোট চুরির রাজনীতি এবং বিরোধী দলের লোকদের হত্যা ও গুমের রাজনীতি শুরু করে। শেখ মুজিবুর এর ছেলে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত এবং নারী লোভী ছিল। যুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা ভারত গিয়ে পালিয়ে লাল নীল পানি খেয়ে নিজেদের নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করেছিলেন। আমুর নাম হয়েছিল আমুদা, তোফায়েল এর নাম হয়েছিল তপুদা। শেখ মজিব পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, আর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে বিরোধী ৩০ হাজার লোকদের হত্যা করে শেখ মুজিব। সংসদে দাঁড়িয়ে দম্ভ করে বলেছিল আজ সিরাজ সিকদার কোথায়? একদলীয় বাকশাল কায়েম করে সকল দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, সকল পেশাজীবীদের বাধ্য করে এই দলে অংশগ্রহণ করতে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকটি আজ্ঞাবহ পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। তারপরে মুক্তি কামি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। সেখান থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় জিয়াউর রহমান এসে আওয়ামী লীগ, জামায়াত সহ অন্যান্য দলের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। এবং জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনে বহু নেতা কর্মীকে হত্যা গুম এবং ক্রসফায়ার নাটক সাজিয়ে শেষ করে আওয়ামী লীগ। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর অন্যায় ভাবে আটকে রাখে। তারপরও তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। আমার নেতা তারেক রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মম নির্যাতন করা হয়। মিথ্যা মামলার কারণে নিজের ভাইয়ের আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। দীর্ঘদিন তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেননি, উন্নত চিকিৎসায় এখন ইনশাআল্লাহ্ তিনি সুস্থ। তারপরও তিনি আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। বেলাবো মনোহরদীতে আগামী দিনে আপনাদের নিয়ে একটি চাঁদাবাজ দখলবাজ মুক্ত একটি ক্লিন ইমেজের বিএনপি উপহার দিব ইনশাআল্লাহ। এই সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক মঞ্জুর মোর্শেদ, মনোহরদী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক সেন্টু আজমল ভূঁইয়া,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক,নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসির,নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সাম্মির রহমান টিপু, মনোহরদী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শাফি উদ্দীন আকন্দ করুন,বেলাবো উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক জাকির ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।