আপনারা যারা সদ্য ভোটার হয়েছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত আইডি কার্ড পান নাই তারা চাইলে Nid card download করে নিতে পারবেন। তবে তার জন্য প্রয়োজন পড়বে NID slip আর আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড একাউন্ট করতে চান ফেস ভেরিফিকেশনেরও প্রয়োজন পড়বে।
তাছাড়া আমরা যদি কোন কাজের জন্য বাহিরে যায়, ঠিক তখন যদি আমাদের এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রেও চাইলে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারব। তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন আসল না নকল।
তাই আপনি যদি নতুন ভোটার আবেদন করে থাকেন তাহলে জেনে নিন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি কিভাবে কানেক্ট করতে হয় সেটা জেনে নিন। এখানে প্রত্যেকটা বিষয় স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করার চেষ্টা করেছি, চলুন জেনে আসি।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনার Nid Slip Number, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি দিয়ে একটা NID registration করুন এবং ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন। তারপর ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনার নতুন/পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন।
এভাবেই যখন আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করে ফেলবেন, তখন সেটা লেমেনেটিং করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে আপনি স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস যাচাই করে জেনে নিতে পারবেন কখন আপনার স্মার্ট কার্ড রেডি হবে।
এখন আমি মূলত সংক্ষিপ্ত প্রসেসটা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা পুরো বিষয়টা খুব ভালোভাবে এবং স্টাফ বাই স্টেপ জানতে চান, তাহলে অবশ্যই নিচের লেখাগুলো ভালোভাবে পড়বেন। যেখানে আমি পুরো বিষয়টা কভার করার চেষ্টা করেছি।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রয়োজন পড়বে Voter slip number, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, Nid wallet অ্যাপ দিয়ে ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি। তবে এগুলো ছাড়াও আপনার প্রাথমিকভাবে মোবাইল/ল্যাপটপ কিংবা পিসি প্রয়োজন।
তবে New nid card download bangladesh এর জন্য বিশেষত ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন। আর যারা পুরাতন এন আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করবেন, তাদের ক্ষেত্রে আগে যদি একাউন্ট করা থাকে services nidw gov bd এই ওয়েবসাইটে। তাহলে আশা করি ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়বে না।
মূলত আজকের যে বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেটা করার জন্য উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো কালেক্ট করে রাখতে হবে। তারপরে আপনাকে নিচে যে স্টেপ গুলো শেয়ার করেছি সেগুলো ফলো করে, কাজটা কমপ্লিট করতে হবে।
আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম Services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এখন রেজিস্ট্রেশন করুন বাটনে ক্লিক করে আপনার স্লিপ নাম্বার, জন্ম তারিখ, মোবাইল নাম্বার, ফেস ভেরিফিকেশন, পাসওয়ার্ড সেট আপ এবং সর্বশেষ লগইন করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
মূলত আমরা অনেকেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র কালেক্ট করাকে কঠিন মনে করে থাকে। আসলে মূলত এটা কোন কঠিন বিষয় নয়, এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটা প্রসেস এবং নিয়ম মানতে হবে। এর জন্য নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন-
Time needed: 5 minutes
আপনারা যারা নিজের নতুন বা পুরাতন NID card download করতে চান তাদের জন্য নিচের প্রসেসটা শেয়ার করেছি।
এই স্টেপ গুলোর এক পর্যায়ে আপনাকে ফেস ভেরিফিকেশন করার প্রয়োজন পড়বে। আর এর জন্য অবশ্যই এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার নামে একটি অ্যাপ এর প্রয়োজন। এটা যেন পরবর্তীতে ঝামেলা না হয় তাই আগে থেকেই ডাউনলোড করে রাখুন প্লে স্টোর থেকে।
এখন আপনাকে nid registration ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার জন্য উপরের লিংকে ক্লিক করতে পারেন বা services nidw gov bd লিখে গুগলে সার্চ করে প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন।
এখন আপনার সামনে দুইটা বাটন শো করবে সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন নামে যে বাটনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
এখন আপনার সামনে কিছু খালি ঘরে শো করবে, এখান থেকে প্রথম ঘরে আপনার স্লিপ/এনআইডি নাম্বার, দ্বিতীয় ঘরে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ, একদম নিচের ঘরের উপরে ঝাপসা ইমেজের মধ্যে যে সংখ্যাটা রয়েছে সেটা বসিয়ে দিন। সবশেষে একদম নিজের সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
এখন আপনার সামনে আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার বিভাগ, জেলা, উপজেলা দেয়ার জন্য অপশন শো করবে। সুতরাং আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে প্রোভাইড করার পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
এখন আপনার সামনে একটা মোবাইল নাম্বার দেয়ার অপশন শো করবে। সুতরাং এখানে অবশ্যই একটা সচ্ছল মোবাইল নাম্বার দিবেন, যেন একটা এসএমএস পাঠানো হলে সেটা দেখতে পান। এখন আগে থেকেই করা থাকলে আগে যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেটা শো করবে। সুতরাং নাম্বার দিয়ে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন
এখন আপনার দেওয়া নম্বর অনুযায়ী ৬ ডিজিট এর একটা কোড পাঠানো হবে। সুতরাং OTP verification কোডটি এখন আপনার সামনে যে অপশনটি শো করতেছে সেখানে বসিয়ে দিন। ছয় সংখ্যার যাচাই করেন কোডটি বসিয়ে দিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
এখন QR code সম্বলিত একটি পেইজ আপনার সামনে শো করবে। সুতরাং এই কিউ আর কোডটি আপনি nid wallet সফটওয়্যার দ্বারা স্ক্যান করুন এবং ক্যামেরা ওপেন হলে আপনার চেহারা দেখান। যতক্ষণ পর্যন্ত টিক মার্ক আসবে না দেখাতে থাকুন, না হলে পুনরায় চেষ্টা করুন। এভাবেই আপনার ফেস ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করুন।
এখন অটোমেটিক্যালি ভাবে আপনার সামনে একটা ফেস ওপেন হবে। এখানে দুইটা অপশন দেখতে পাবেন পাসওয়ার্ড সেট এবং এড়িয়ে যান নামে। সুতরাং এখান থেকে পাসওয়ার্ড সেট বাটনে ক্লিক করে স্ট্রং একটা পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড না দিতে চাইলেই এড়িয়ে যেতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত সমস্ত স্টেপ কমপ্লিট করার পরে আপনার একাউন্টে পুনরায় লগইন করতে হবে। তবে যদি অটোমেটিক্যালি লগইন হয়ে যায় তাহলে করতে হবে না। সুতরাং একাউন্টে প্রবেশ করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
আমি উপরে আপনাদের সাথে স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করার চেষ্টা করেছি কিভাবে কি করতে হবে। এভাবেই চাইলে আপনারা অনলাইন থেকে পুরাতন বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন
আমরা সবাই চাই আমাদের NID card online copy download করতে, যেন আমরা যে কোন সময় যে কোন জায়গাতেই বিভিন্ন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। তাই সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা প্রসেস অবলম্বন করতে হবে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে।
যেটা কিনা আজকের এই নিবন্ধন এর মধ্যে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ এই কাজটা করতে হয়। সুতরাং আপনারা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আর্টিকেলটা অবশ্যই শুরু থেকে পরে আসতে পারেন আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।
এক কথায় বলতে গেলে, মূলত এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটা একাউন্ট খুলতে হবে এবং ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কি কি প্রয়োজন?
আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন যেমন স্লিপ/ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার, জন্ম তারিখ,ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি এর প্রয়োজন।
কিভাবে অনলাইন থেকে আমার স্মার্ট কার্ডের কপি ডাউনলোড করব?
স্মার্টকার্ড ডাউনলোড করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করুন এবং আপনার স্মার্ট কার্ডের পরিবর্তে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে নিন। তবে আপনারা যারা, স্মার্ট কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে চান তারা কখনোই পারবেন না। কেননা এটা প্লাস্টিক জাতীয় হওয়ায় এটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা সম্ভব নয়।
অন্য কেও কি আমার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবে?
না কেননা যেখান থেকে অর্থাৎ যে ওয়েবসাইট থেকে NID Card Download করা হয় সেখানে একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই বর্তমান সময়ে ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া একাউন্ট খোলার সময় আপনি চাইলে নিরাপত্তার স্বার্থে পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড কবে পাবো ২০২৩?
আপনি ভোটার আইডি কার্ড কবে পাবেন সেটা নির্ভর করবে আপনি ভোটার আইডি কার্ড কবে করিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে। অনেক সময় দেখা যায় যে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদনের সম্পূর্ণ প্রসেস কমপ্লিট করার পরবর্তী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায়।
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড কেন প্রয়োজন?
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করা অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে যেমন আমরা নতুন ভোটার হওয়ার পরে সেটা সরাসরি অফিসে গিয়ে কষ্ট করে আইডি কার্ডটা কানেক্ট না করে অনলাইন থেকে এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করা। আরো নানা কাজে আমাদের এই প্রয়োজনীয় কার্ড টা ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে।
ভোটার স্লিপ হারিয়ে ফেলেছি এখন কি করব?
আমরা যখন অনলাইন থেকে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যাই সে ক্ষেত্রে ভোটার স্লিপ অথবা এন আই ডি নাম্বারের প্রয়োজন পড়ে। তো এখন যদি আপনার কাছে এন আইডি নাম্বার না থাকে এবং স্লিপ যেটা আছে সেটা হারিয়ে যায়, তাহলে সেই সম্পর্কে নিকটস্থানে গিয়ে জিডি করুন এবং সেই জিডি কপিটা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিন।
জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর?
কমবেশি, আমরা সকলেই জানি ২০২০ সালের এক বিজ্ঞপ্তি তে ইসি জানায়, যারা দুই বছর কিংবা ১৫ বছর মেয়াদী জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তাদেরকে আজীবন করা হয়েছে। তো এখান থেকে প্রতিমান হই যে, প্রতিটি ব্যক্তির এন আইডি কার্ড সেটা আজীবন মেয়াদী অর্থাৎ কখনো মেয়াদ শেষ হবে না।
আইডি কার্ড নাম্বার কি?
আইডি কার্ড নাম্বার হচ্ছে এমন একটা নাম্বার যেটা প্রত্যেক ব্যক্তির আইডি কার্ডের মধ্যে লিপিবদ্ধ থাকে আর আপনারটা যদি স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকে তাহলে ১০ ডিজিটাল হবে আর এন আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের।
১৭ ডিজিটের এনআইডি নাম্বার কিভাবে পাওয়া যায়?
এক্ষেত্রে যাদের আইডি কার্ড নাম্বার ১৩ ডিজিটের তারা এই ১৩ ডিজিটের একদম শুরুতে জন্ম সাল বসিয়ে দিবে এবং ১৭ ডিজিট হয়ে যাবে। আর যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু এখনো আইডি কার্ড পান নাই, তারা তাদের স্লিপটা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় যোগাযোগ করবেন।
আইডি কার্ড কত ডিজিটের?
আগে যে লিমিটিং করা আইডি কার্ড ছিল সেগুলো ১৭ ডিজিটের ছিল, কিন্তু এখন যেগুলো স্মার্ট কার্ড কিংবা ডিজিটাল এন আইডি দেওয়া হচ্ছে সেগুলো ১০ ডিজিটের।