ঢাকা -কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে।
মোঃ হিমেল মিয়া
মনোহরদী উপজেলা প্রতিনিধি।
ঢাকা কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণের। ইটাখোলা থেকে ডেইনেরঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ৬ ফিট করে মোট ১২ ফিট রাস্তা প্রশস্ত করনের কাজ চলার কারনে অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।তার পর কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে।এতে করে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে অনেক সময় ঘটতেছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক রাস্তাঘাট। প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। অনেক সময় মানুষ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না শুধু মাত্র রাস্তা নির্মাণ কাজ চলমান এর কারনে। বিশেষ করে মনোহরদী উপজেলার মধ্যে চালাকচর বাজারে মানুষের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। কাপাসিয়া, কিশোরগঞ্জ, বেলাবো ও মনোহরদী উপজেলার সকল মানুষের ও যাতায়াত রয়েছে এই চালাকচর বাজারে। এই বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার কাজ চলার কারনে অনেক মানুষের যাতায়াত কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে চরম লোকসানের মুখে পড়েছে বাজারে সকল ব্যবসায়ীরা ।তার মধ্যে বাজারে রাস্তায় দুই পাশের কাজের জন্য অনেক দোকানপাট ভাংগা হয়েছে। তাতে ও কোন সমস্যা ছিল না যদি রাস্তা সংস্কার এর কাজ অতি দ্রুত শেষ করা যেত। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা নির্মাণ এর কাজ বন্ধ থাকার কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বাজারে সকল ব্যবসায়ীরা। রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারনে ব্যবসা বাণিজ্য অনেক কমে গেছে।কারন এই বাজারে মধ্যে মানুষের যাতায়াত অনেক কমে গেছে।এর প্রধান কারণ হলো রাস্তা ভাঙ্গা। কোন গাড়ি যেতে যায় না শুধু মাত্র রাস্তা ভাঙ্গার কারনে। রাস্তা ভাঙ্গার অযুহাত দেখিয়ে অটোরিকশা ও সিএনজির ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।এতে করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।যার প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতির উপর। বিভিন্ন তরকারি ও সবজির দাম ও বেড়ে গেছে রাস্তা ভাঙ্গার অযুহাত দেখিয়ে। কারণ আগে অনেক দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ী ও কৃষকগন বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল সবজি ও বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে চলে আসতে পারতো খুব সহজেই। রাস্তা ভাঙ্গার কারনে আগের মত এখন আর আসে না। যার প্রভাব পড়েছে সকল নিত্যপণ্যের উপড়ে। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারনে প্রায় ই জ্যামের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যেখানে যেতে লাগতো ৩০ মিনিট এখন লাগে ১ ঘন্টা ।এতে করে মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে সহছে পৌঁছাতে পাড়ছে না। অপচয় হচ্ছে সময়ের ও । চালাকচর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সাথে কথা বলে জানা গেছে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রায় অর্ধেক নেমে এসেছে। এতে করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম টিকিয়ে রাখা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা ভাঙ্গার কারনে অনেক স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ে তারা সঠিক সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের যেতে পারছে না।এত কচ্ছপ গতিতে কাজ চলতে থাকলে মানুষের জিবনের মধ্যে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।এই কচ্ছপ গতির কাজ থেকে পরিত্রাণ চায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। নরসিংদীর সড়ক বিভাগের নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে রাস্তায় চলাচলরত সকল ভোক্ত ভোগিরা ।যথা সময়ে যেন রাস্তা নির্মাণ কাজ করা হয় । কাজের গতি যেন আরো বাড়ানো হয়।