• মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজঃ
চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েমে ব্যর্থ: ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে গণধোলাই খেল ছাত্রদল নেতা জব্বার। মনোহরদীতে কিশোর সেলুন কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু। খিদিরপুর ইউনিয়নে এইচএসসি ও আলিম সমমানের পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় মনোহরদী উপজেলা ছাত্রদল মনোহরদীতে তারেক রহমানের নির্দেশে ৫০০ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ। তারেক রহমানের নির্দেশে মনোহরদীর গোতাশীয়ায় বিএনপির উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। নরসিংদীতে ধর্ষণের শিকার নারী জন্ম দিলেন সন্তান, অভিযুক্ত রহমান মিয়া কারাগারে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলো মনোহরদী উপজেলা ছাত্রদল। নরসিংদীর গর্ব সানজিদা সরকার — বাংলাদেশ পুলিশ প্রশিক্ষণে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। নরসিংদী জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত। আবুল ফজল ও আশিকুর রহমান মানিক খিদিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির গর্বিত নেতৃত্ব।

চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েমে ব্যর্থ: ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে গণধোলাই খেল ছাত্রদল নেতা জব্বার।

Reporter Name / ৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
Oplus_131072

চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েমে ব্যর্থ: ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে গণধোলাই খেল ছাত্রদল নেতা জব্বার

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য গড়তে গিয়ে অবশেষে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে ছাত্রদল নেতা আব্দুল জব্বার। উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকায় ভুয়া ‘উপজেলা সমন্বয়ক’ সেজে চাঁদা তুলতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে তিনি।

রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে আসাদনগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে ভবন মালিকের কাছে সরাসরি এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জব্বার। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে প্রকাশ্য রাস্তায় বেধড়ক পেটায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এই ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

চাঁদাবাজির আখড়া গড়ে তুলেছিল

স্থানীয়দের অভিযোগ, আব্দুল জব্বার বহুদিন ধরে মনোহরদীতে কিশোর গ্যাং লেলিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি চালাচ্ছিল। হাসপাতাল, থানা, উপজেলা প্রশাসন— কোথাও তার হাত থেকে রেহাই পায়নি। রোগীর স্বজন থেকে শুরু করে সেবা নিতে আসা মানুষদেরও চাঁদা দিতে হতো জব্বারের গ্যাংকে।

জুলাই বিপ্লবের পর থেকে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সংবাদকর্মীরা তার চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির ওপরও হামলা চালায় সে ও তার দলবল।

ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙিয়ে ত্রাস

এলাকাবাসীর দাবি, সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নাম ভাঙিয়ে সে পুরো মনোহরদীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় নিজের পকেট ভরাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। অবশেষে স্থানীয় জনগণের ক্ষোভে পড়ে গণধোলাই খেয়ে তার আসল চেহারা উন্মোচিত হলো।

কঠোর ব্যবস্থা দাবি

এখন এলাকাবাসীর একটাই দাবি— প্রশাসন যেন এমন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে। না হলে ভবিষ্যতে আরেকটি জব্বার উঠে এসে একইভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category

Most Viewed Posts