
পাঁচ দফা দাবিতে আটদলের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল দুইটা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশেপাশের রাস্তা লোকারণ্য হয়ে যায়। সমাবেশ বক্তব্য রাখেন আট দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যতদিন এই দুনিয়া আল্লাহর আইন দ্বারা পরিচালিত না হবে ততদিন অশান্তি দূর হবে না। সেজন্য কুরআনের আলো সংসদে জ্বালাতে হবে।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেন, বারংবার পটপরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। এর কারণ হলো, শাসক অসৎ ছিলো এবং ভুল আইন দ্বারা দেশ পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে ব্যবস্থায় হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাফি মুক্ত ঘুরে বেড়ায়, আর দশ হাজার টাকার ঋণ খেলাফি গরীব কৃষককে কারাগারে যেতে হয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমাদেরকে ইসলামের আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অতীতে তিনটি দল দেশ শাসন করেছে। তারা সবাই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও টাকা পাচারের সাথে জড়িত ছিলো। ভিন্নমতকে নির্মমভাবে দমন করেছে। ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের ফাঁসি দিয়েছে। এবার সুযোগ এসেছে পরিবর্তনের। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আমরা আট দল একত্রে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আল্লাহর রহমতে এই জোট আরো বড় হবে। আমরা জেলা-উপজেলা ও থানায় থানায় লিয়াজোঁ কমিটি করে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলবো যা আগামী নির্বাচনে জাতির মুক্তি এনে দেবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন বলেন, একটি দল যেনতেন উপায়ে নির্বাচন করে দেশে আবারও স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বারংবার ধোঁকা খেয়েছে। ২৪ এর পরেও একটি দল ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নেজামে ইসলাম পার্টির আব্দুল মাজেদ আতহারি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আমাদের প্রস্তাবের প্রতি সরকার কর্ণপাত করে নাই। জাগপার মুখপাত্র জনাব রাশেদ প্রধান বলেন, আল্লাহ ছাড় দেন। কিন্তু ছেড়ে দেন না।