• রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন |
  • English Version

মারিয়া করিনা মাচাদোকে নোবেলজয়ে অভিনন্দন জানালেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস – IPCSBDPress

Reporter Name / ১১ Time View
Update : রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেটঃ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ১১, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।শনিবার প্রকাশিত এক দীর্ঘ বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র রক্ষা, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকারের পক্ষে মাচাদোর সাহসী অবস্থান আজকের বিশ্বে সত্যিকারের নেতৃত্বের প্রতীক। নানা নির্যাতন, হুমকি, গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মুখেও তিনি কখনো থেমে যাননি। তার দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম ভেনেজুয়েলাবাসীর পাশাপাশি সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নোবেল কমিটির ঘোষণায় যে বক্তব্য উঠে এসেছে, তা বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতার সঙ্গে গভীরভাবে মেলে। “গণতন্ত্র নির্ভর করে তাদের ওপর, যারা নীরব থাকতে অস্বীকার করেন, যারা ঝুঁকি নিয়ে সামনে আসেন, এবং যারা মনে করিয়ে দেন যে স্বাধীনতা স্বাভাবিকভাবে আসে না; এটি রক্ষা করতে হয় কথায়, সাহসে এবং দৃঢ়তায়” এই বার্তাটি বর্তমান বিশ্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।ইউনূস আরও বলেন, মারিয়া করিনা মাচাদো এক এমন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যেখানে মানুষ তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচবে, রাষ্ট্রের ক্ষমতা নাগরিকের সেবায় ব্যয় হবে, আর ন্যায়বিচার হবে প্রতিটি সমাজের মূল ভিত্তি। তিনি কেবল ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে নয়, পুরো লাতিন আমেরিকায় নারীর নেতৃত্ব ও প্রতিরোধের নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, মাচাদোর সংগ্রাম প্রমাণ করেছে যে সত্যের পক্ষে দাঁড়ালে নির্যাতনের ভয় মানুষকে থামাতে পারে না। “তিনি তার দেশকে ভালোবেসেছেন, জনগণের অধিকারকে মর্যাদা দিয়েছেন, এবং ন্যায় ও স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছেন,” বলেন ইউনূস।

বার্তার শেষাংশে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি মারিয়া করিনা মাচাদোকে অন্তরের গভীর থেকে অভিনন্দন জানাই। তিনি এমন এক সাহসী নারী, যিনি অন্যায়ের মুখে নীরব থাকেননি। তার নেতৃত্ব আমাদের মনে করিয়ে দেয়— মানবতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দৃঢ় থাকা আজও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কর্তব্য।”

অধ্যাপক ইউনূসের এই বার্তাটি শুধু শুভেচ্ছা নয়, বরং গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা এবং দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব পাচ্ছে।

IPCS News : Dhaka :


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category

Most Viewed Posts