: নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বড়চাঁপা ইউনিয়নের বাসিন্দা, মালয়েশিয়া প্রবাসী জহির উদ্দিনের সুখের সংসার এক মুহূর্তে তছনছ হয়ে গেছে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে। ২০০০ সালে ইসলামিক শরীয়া মতে শাহাবুদ্দিনের মেয়ে আকলিমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জহির উদ্দিন। তাদের ঘরে জন্ম নেয় দুই ফুটফুটে সন্তান— ছেলে অনিক ও মেয়ে আতিকা।
সুখের সংসারকে আরও স্বচ্ছল করার আশায় জহির উদ্দিন মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে দীর্ঘ ১৭ বছর পরিশ্রম করে অর্জিত সব টাকা পাঠাতেন স্ত্রীর কাছে, যাতে তার পরিবার ভালোভাবে চলতে পারে। কিন্তু টাকার গরমে আকলিমা হয়ে ওঠেন উচ্চবিলাসী এবং জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়।
বিদেশে অবস্থানকালে জহির উদ্দিন জানতে পারেন, তার স্ত্রী আকলিমা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং তার কষ্টার্জিত অর্থ অপব্যবহার করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি এবং স্ত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ সংগ্রহ করেন। এরপর স্ত্রীর কাছে তার রোজগারের হিসাব চাইলে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী আকলিমাকে তালাক দেন এবং নতুন করে সংসার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এখানেই জহির উদ্দিনের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি আকলিমা তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে জহির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও ৪-৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় জহির উদ্দিনকে বেধড়ক মারধরও করা হয়।
এ ঘটনায় তিনি মনোহরদী থানায় অভিযোগ করতে গেলে, পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন জহির উদ্দিন। এখন তিনি আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জহির উদ্দিন আরও জানান, তার স্ত্রী ও সন্তানরা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা তিনি সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
পরকীয়ার জালে ফেঁসে প্রবাসী জহির উদ্দিনের দীর্ঘ ১৭ বছরের পরিশ্রম ও ত্যাগ আজ নিঃশেষ হয়ে গেছে। তিনি প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করছেন এবং নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।