[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৮ বছরের সংসার। হঠাৎ একদিন কাজ শেষে সামী ঘরে ফিরে দেখেন স্ত্রী নেই, বাড়ি
বেড়াতে আসা শাশুড়ি ও মামী শাশুড়ি তারাও নেই। নেই স্ত্রীর কোনো জামা কাপড় ও গহনা, এমনকী ঘরে নেই স্বামীর কষ্টে অর্জিত জমানো টাকাও। স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করলেও রিসিভ করেনি নিশি।
অভিযোগের ভিত্তিতে ও সামীর ফোনালাপে জানা যায়, নরসিংদী শহরের ২৫/২ ব্রাহ্মনপাড়া এলাকার শাহবুদ্দিন আহমেদের ছেলে রাফিন শাহরিয়ার আরহাম স্বামী।। স্বামীর বাবার চাকুরীর সুবাধে ব্রাহ্মনপাড়া এলাকায় তাদের বসবাস। পরবর্তীতে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর শিবচরে চলে যান। তার স্ত্রী নুরজাহান আক্তার নিশি নরসিংদী শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার শিখা আক্তারের মেয়ে (পিতৃ পরিচয় পরিচিত নয়)। শিখার স্বামী নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন আগে শিখার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে বিবাহ করে সংসার করে মৃত্যুবরণ করেন। তাই মাতৃ পরিচয়েই বড় হন নিশি। দীর্ঘ ৭ বছর আগে সামি ও নিশি একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করে। সেই থেকে তাদের সংসার জীবন শুরু। কিন্তু তাদের এই সংসারে জীবনে বাদ সাদেন নিশির মা শিখা ও মামী ইতি। তারা মেয়ের শশুর বাড়ী মাদারীপুর এসে ফুসলিয়ে সামীর অবর্তমানে কাউকে কিছু না বলে নিশিকে নিয়ে চলে যান।
সামির দেওয়া তথ্য উপাত্ত ও বর্ণনায় উঠে আসে নিশির মামি ও তার মা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতা। এই চক্রের মূল কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী চাকুরিজীবী ও বিদেশ ফেরতদের নারীর লোভ দেখিয়ে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে সে অর্থ সুদে খাটানো। লোকজনের কাছ থেকে খালি চেক নিয়ে তাতে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করে মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। জানা যায় এই দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন রাশেদা, হেলেনা ও শিরিন। তারা পরপুরুষের জৈবিক চাহিদা মিটাতে নিজেদের মেয়েকে তাদের কাছে তুলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। এমতাবস্থায় সামী তার স্ত্রী নিশিকে নিয়ে শঙ্কিত। তার স্ত্রী নিশির বেলায়ও এমনটি ঘটতে পারে।
সামীর কথায় জানা যায়, ইতির স্বামী মাসুদুল কবির সুমন সৌদি প্রবাসী। স্বামীকে বিদেশে পাঠিয়ে নিজেসহ অন্যান্য মেয়েদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের মনোরঞ্জন। তাদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। ইতির অনেক পাওনাদার রয়েছে। তারা ইতির কাছে লাখ লাখ টাকা পেলেও মান সম্মান ও মিথ্যা মান হানিকর অপকর্মের ভয়ে টাকা চাইতে পারে না। মোবাইলে টাকা চাইলে দিয়ে দিচ্ছি বলে তাদের ফাঁকি দিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য ইতির নম্বরে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
[ad_2]