• বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজঃ
এক বছরের মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আ-ত্মহত্যা করলেন মা। মনোহরদীতে অর্থনৈতিক শুমারিতে অনিয়মের অভিযোগ। মনোহরদীতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৭ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন। মনোহরদীতে চালাকচর বাজারে বিএনপির দুই পক্ষেরসংঘর্ষে আহত ১০, গাড়ি ভাঙচুর। নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য অবিস্তার নিয়ে ২ ইউপি সদস্য নিহত গত ১৬ বছর আমাদের পায়ে শিকল পড়িয়ে রেখে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার ডা:এম এইচ কবির। মনোহরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২ নিহত ১ কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল এর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভা। কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল এর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল শৈশবের পৃষ্ঠপোষকতায় মনোহরদীতে ঐতিহ্যবাহী কাচি টান খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ লাপাত্তা: দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।,

মোঃ হিমেল মিয়া মনোহরদী উপজেলা প্রতিনিধি। / ৮৮ Time View
Update : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

 

মনোহরদী প্রতিনিধি :

দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে নরসিংদীর মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

 

রবিবার (১৭ই আগস্ট) ১১ টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুইদিনের মধ্যে অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা পাঠদান বর্জন করে নতুন কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানান, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক দীর্ঘদিন ধরে কলেজে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে আসছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি নামে-বেনামে বিভিন্ন বিল-ভাউচার দিয়ে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের আয় ব্যায়ের হিসাব কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজে ভর্তি ও ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমেও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লেজুড়বৃত্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন–বিরোধী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাকে কলেজে আসার জন্য বার বার ফোন দিলেও তিনি আসেন নি।

এ ছাড়া অধ্যক্ষের উদাসীনতায় কলেজটিতে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে এক দফা দেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা,  শিক্ষা অধিদফতর ও দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি। যে সকল শিক্ষক তার দূর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন, তিনি তার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সেই শিক্ষকদের শোকজ করতেন। তার কাছে অসহায় ছিল কলেজের পুরো স্টাফ।

 

এই বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

 

এই বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। যেহেতু কলেজেটির ম্যানেজিং কমিটির  সভাপতি (ইউএনও) স্যার। আমি শিক্ষার্থীদের  বলেছি (ইউএনও) স্যারের কাছে অভিযোগ জানাতে। তিনি আমাকে বললে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, অধ্যক্ষের কলেজে না আসার বিষয়ে শিক্ষকেরা অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

জানা যায়, তৎকালীন সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের মাধ্যমে ২০১২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান গোলাম ফারুক। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সরকারিকরনের কাজ, ফরম ফিলাপ, কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বাহানায় ১ যুগ ধরে কলেজ থেকে প্রায় ১৪/১৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে বলে দাবি করেছেন কলেজ সংশ্লিষ্টরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Most Viewed Posts