
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া।সভা সমাবেশ সেমিনার করে নিজেদের শক্তির জানান দিতে প্রস্তুত সব রাজনৈতিক দলগুলো ।এমনকি জোট করে রাজনৈতিক মিত্র বানিয়ে নিজেদের নির্বাচনী মাঠ শক্ত করতে তৎপর সব দলগুলো ।
বাংলাদেশে এখন বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি যদিও বিএনপি এখনও স্পষ্ট ভাবে বলেনি তারা ১২ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা তবে সমমনা দল ও জোটগুলোকে আস্থায় রেখেছে বিএনপি। এমনকি নির্বাচনী এলাকায় মিত্র অনেক দলগুলো স্থানীয় বিএনপিকে চিঠিও দিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামী হাসিনা পতনের পর দাড়িপাল্লা প্রতীক সহ নিবন্ধন ফিরে পেয়ে আসন্ন সংসদ নির্বচন ঘিরে বেশ শক্তিশালী ভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে মাঠে নামার।
ইসলামি আনন্দোন সহ বেশকিছু ইসলামি দল এবং অনান্য মধ্যপন্থি দল নিয়ে জোটের চেষ্টা করছে জামায়াত।এমনকি দুই দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছে জামায়াত।কিন্তু এই সমাবেশে জামায়াতের ২৪ বছরের জোটসঙ্গী বিএনপিকে দেখা না গেলেও নতুন দল এনসিপি,গণঅধিকার সহ ইসলামি দলগুলোর সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। তাই গুন্জন উঠেছে তবে কি এই সব দল মিলে হতে যাচ্ছে বিএনপি বিরোধী নির্বাচনী জোট! তবে এটিকে নির্বাচন জোট নয় বরং সংস্কার কেন্দ্রীক জোট বলছেন দলগুলোর নেতারা। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড.সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন জামায়াত ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে কিন্তু এককভাবে না করে সমমনা দলগুলোর মাঝে সিট সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে জামায়াত।
এরআগে ৫ আগষ্ট জাতির উদ্দেশ্য দেয়া ভাষণে ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন নির্বচন তৎপরতা ঘিরে একক অথবা জোটগত ভাবে কোন দল এগিয়ে থাকবে নির্বচনী লড়ায়ে এটা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।