পারিবারিক কলহের জেরে মা এক বছরের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদ
গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর এলাকার সাতখামাইর রেলস্টেশনের উত্তর পাশে, ৯ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কোলে ১বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাসরিন আক্তার নামের এক নারী।
নাসরিন আক্তার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার টাঙাব গ্রামের রাসেল আহমেদের স্ত্রী। রাসেল একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্বামীর চাকরির সুবাদে তিনি শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামে স্বামীর সাথে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সাতখামাইর রেল স্টেশনের কিছুটা উত্তরে আমতলা নামক স্থানে সকাল থেকেই একটি নারী বসে মোবাইলে কথা বলতেছিলেন। এসময় উচ্চ স্বরে কারো সাথে ঝগড়াঝাটি করতেছিলেন ওই নারী। সাড়ে দশটার পর ময়মনসিংহগামী মহুয়া ট্রেনটি আসলে হঠাৎ শিশুকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন নাসরিন। চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় তারা দুজন রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই নাসরিনের মৃত্যু হয়। তবে, গুরুতর আহত হয় কোলে থাকা শিশুটি। আহত অবস্থায় ওই শিশুকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিও মৃত্যুবরণ করেন। পারিবারিক কলহের কারণে শিশুসহ ওই নারী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।
ঝগড়াঝাটির কথা অস্বীকার করে ওই নারীর স্বামী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই আমার স্ত্রী ও সন্তান ঘরে নেই। আশপাশে খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বাড়ির মালিক কে জানাই। এরপর স্ত্রীর সাথে থাকা মোবাইলে কল দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান তিনি তার সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দিয়ে সেটি বন্ধ করে রাখেন।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান দৈনিক দেশ প্রতিদিন কে জানান সাতখামাইর রেলস্টেশনের পাশে একটি দুর্ঘটনায় কোলে বাচ্চাসহ এক মহিলা আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।আমি রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছি।